রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২০ পূর্বাহ্ন
আক্তার বিন আমির আহমদ :
পূর্ণিমার চাঁদ আমাদের ওপর উদিত হলো। সে কী আনন্দ, উৎসবে মেতে উঠেছিল মদিনার ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা! তাদের প্রিয় নবীকে বরণ করে নিতে বিখ্যাত ত্বলায়াল বাদরু আলাইনা নাশিদটি গেয়েছিল সেদিন।
এক সময় পুরো আরব পাপে নিমজ্জিত, অন্যায়, অত্যাচার, রাহাজানি, খুনের বদলায় খুন, নারীদের অসম্মান, কন্যা সন্তানের জীবন্ত কবর দেওয়ার রীতি চালু। সেই মুহূর্তে মক্কায় আব্দুল্লাহর জরাজীর্ণ কুঠিরে মা আমেনার কোলে পূর্ণিমার চাঁদ হয়ে এ জগতে এসেছেন বিশ্বনবী। সব মানুষের নবী। তিনি মানব জাতির মুক্তির দিশারি।
তার আগমনে আরবের বিদঘুটে অন্ধকার দূর হলো। ভোরের আলো ফুটলো মরুপ্রান্তরে! আলোর মিছিলের জয়ধ্বনিতে জগৎ হলো উজালা। শুষ্ক মরুভূমিতে ফলে সোনার ফসল। বনে গান গায় পাখি; সুর তুলে আপন মনে। তায়েফে হালিমাতুস সাদিয়ার কবিলায় (গোত্রে) দুম্বা, ছাগল ও উটগুলো দিতে লাগলো অপরিমিত দুধ। ফসলে ভরে গেল তায়েফের অনাবাদি মাঠ! দূর হলো হাজার বছরের কুসংস্কার! কন্যা সন্তানের জীবন্ত কবর দেওয়া রীতি চিরদিনের জন্য বন্ধ হলো। নারীকে অপমান, অপদস্থ থেকে মুক্তি দিলেন, আল্লাহর বেহেশত রাখলেন নারীর (মায়ের) পায়ের নিচে। জগতের জন্য হলেন রহমতস্বরুপ। নবীজির আদর্শ ছড়িয়ে পড়ল উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত। তিনি মহান চরিত্রের অধিকারী। তার উত্তম আখলাক (চরিত্র) দেখে বিমুগ্ধ হয়ে অবিশ্বাসীরা আল-আমিন নামে ভূষিত করল। বিদ্যুতের মতো আল্লাহর দেওয়া বিধান নবীজির সুমধুর বাণী ছড়িয়ে গেল সারা বিশ্বে! ডুবন্ত সূর্য আবার উদিত হলো পূব আকাশে। সেই আলোর রশ্মি ঝলমলে করে আলোকিত হলো বিশ্ব! আপনার তরে হাজার কোটি সালাম ও দরুদ ইয়া মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
ভয়েস/আআ